শুক্রবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৫
- Advertisement -
ঘটমান সংবাদ
আরও

    ‘মুজিব বর্ষে’ ৫৬০টির মধ্যে ১৭০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন

    হোমজাতীয়‘মুজিব বর্ষে’ ৫৬০টির মধ্যে ১৭০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন

    ‘মুজিব বর্ষে’ ৫৬০টির মধ্যে ১৭০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন

    ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে পরিকল্পিত মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ মধ্যে প্রায় ১৭০টি উদ্বোধন করা হবে। ধর্মীয় বিভ্রান্তি দূর করে ইসলামের প্রকৃত বাণী প্রচারের উদ্দেশ্যেই এগুলো স্থাপন করা হচ্ছে।

    ৫৬০টি মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক মো. নজিবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের পাশাপাশি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে তিন দফায় মোট ১৭০ টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হবে।’

    এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে আসন্ন রমজানের আগে ৫০ টি মসজিদ উদ্বোধন করা হবে এবং সেপ্টেম্বর মাসে আরও ৬০টি এবং ডিসেম্বর মাসে ৬০ টি মসজিদ উদ্বোধন করা হবে।

    সিরাজগঞ্জে ৪ তলা বিশিষ্ট জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই ৮০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়েছে।

    সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ বলেন, মসজিদের বাকি নির্মাণ কাজ ১৭ মার্চের আগেই শেষ হবে এবং ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে এটি উদ্বোধন করা হবে।

    পাশাপাশি, রংপুর জেলায় প্রথম পর্যায়ে উদ্বোধনের জন্য ৫ টি মডেল মসজিদ প্রস্তুত করা হচ্ছে।

    রংপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘রংপুরে ৪ তলা বিশিষ্ট জেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক কেন্দ্রের প্রায় ৯১ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশা করছি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের আগেই বাকি কাজ শেষ হবে।’ তিনি বলেন, ৯ টি মসজিদের মধ্যে ৫ টি প্রথম পর্যায়ে উদ্বোধন করা হবে।

    প্রকল্প পরিচালক নজিবর রহমান বলেন, ইসলামের চেতনায় অনুপ্রাণিত এবং জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণের ধারণা গ্রহণ করেন, এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা।

    পদ্মা বহুমুখী সেতুর পরে নিজস্ব তহবিলে বাস্তবায়িত এটিই দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প উল্লেখ করে নজিবর রহমান বলেন, ‘এটি বিশ্বে প্রথম কোন সরকার একই সময়ে এই বিপুল সংখ্যক মসজিদ নির্মাণ করছে।’

    তিনি বলেন, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ইসলামের ভ্রাতৃত্ব এবং মূল্যবোধের প্রচার এবং উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত মর্মবাণী প্রচার করা। ইসলাম কখনোই উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না।

    বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন আইন ১৯৭৫ কার্যকর করেছিলেন উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক বলেন, দেশব্যাপী মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ইসলামী সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।

    তিনি বলেন, সরকারের প্রচারমূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতেও এটি ভূমিকা রাখবে।

    প্রকল্প পরিচালক বলেন, ৪২০ টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং বাকি মসজিদগুলোর কাজ শিগগিরই শুরু হবে।

    প্রকল্পের বিবরণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী এ, বি ও সি এই তিনটি ক্যাটাগরিতে ৫৬০টি মসজিদ-কাম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জেলা ও সিটি কর্পোরেশনগুলো জন্য এক ধরণের এবং উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য দুই ধরনের মডেল নির্বাচন করেন। জেলা ও সিটি কর্পোরেশনের মসজিদের জন্য ১৫ কোটি ৬১ লাখ এবং উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মসজিদগুলোর জন্য ১৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

    এলিভেটর সুবিধাসহ ৪ তলা বিশিষ্ট ৬৪ টি মসজিদ ‘এ’ ক্যাটাগরিতে প্রায় ৬৯ টি জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নির্মিত হবে, প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন হবে ২,৩৬০.০৯ বর্গ মিটার।

    ‘বি’ ক্যাটগরির ৪৭৫ টি মসজিদের প্রতিটির ফ্লোরের আয়তন হবে ১,৬৮০.১৪ বর্গ মিটার এবং সি ক্যাটাগরির ১৬ টি মসজিদ উপকূলীয় এলাকায় নির্মাণ করা হবে, এ গুলোর প্রতিটির ফ্লোরের আয়তন হবে ২,০৫২.১২ বর্গ মিটার।

    প্রতিটি জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকার মসজিদে একসাথে ১,২০০ লোক নামাজ আদায় করতে পারবেন, উপজেলা ও উপকূলীয় মডেল মসজিদের প্রতিটিতে একসাথে ৯,০০ লোক নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং প্রায় ৪ লাখ ৯৪ হাজার পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ নারী একত্রে নামাজ আদায়ে সক্ষম হবেন।

    মডেল মসজিদগুলোতে ইসলামী গবেষণা ও দীন-ই দাওয়াহ কার্যক্রম, কুরআন হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষা ব্যবস্থা, স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা, মৃতদেহ দাফনের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের সমাবেশ ও প্রশিক্ষণের সুবিধা থাকবে। ইমাম-মুয়াজ্জিন এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য কার পার্কিংয়ের সুবিধা থাকবে।

    এসব মসজিদে লাইব্রেরী সুবিধা থাকবে, সেখানে একসাথে প্রায় ৩৪ হাজার লোক পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং ইসলামিক বই পড়তে পারবেন।

    প্রকল্প কাজ শেষে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ লোক ইসলামিক বিষয়ে গবেষণা করতে পারবেন, প্রায় ৫৬ হাজার লোক দোয়া ও মুনাজাতে অংশ নিতে পারবেন।

    অন্যান্য ধর্মীয় কর্মকান্ডের বাইরেও ১ লাখ ৬৪ হাজার শিশু প্রতিবছর প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে। এ সব মসজিদ থেকে প্রতিবছর ১৪ হাজার কোরআনে হাফেজ হবেন।

    এছাড়াও, পবিত্র হজের ডিজিটাল নিবন্ধনের পাশাপাশি প্রায় ২ হাজার ২৪০ জন দেশী-বিদেশী অতিথির আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে।

    সূত্র: বাসস

    Author

    • Study Center BD

      Study Center BD is a educational resource and educational research related knowledge base website. We provide easily understandable study resources with easy approaches. So that the students do not desperate and get bored.

      Study Center BD
      www.studycenterbd.online
      https://studycenterbd.online
      Mobile: +880 1877748005
      E-Mail: info@studycenterbd.online

      Mastodon Profile: Mastodon

    স্টাডি সেন্টার বিডি
    স্টাডি সেন্টার বিডিhttps://studycenterbd.online

    Study Center BD is a educational resource and educational research related knowledge base website. We provide easily understandable study resources with easy approaches. So that the students do not desperate and get bored.

    Study Center BD www.studycenterbd.online https://studycenterbd.online Mobile: +880 1877748005 E-Mail: info@studycenterbd.online

    Mastodon Profile: Mastodon
    RELATED ARTICLES

    একটি জবাব দিন

    আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
    এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

    Most Popular

    Recent Comments