ক্যারিয়ার (পেশা/চাকরি): বাংলাদেশে ক্যারিয়ার গড়া মানে শুধু চাকরি পাওয়া নয় — এটা ব্যক্তির শিক্ষা, যোগ্যতা, পারিবারিক প্রত্যাশা ও সামাজিক অবস্থানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বেশিরভাগ মানুষ ভালো শিক্ষা ও সরকারি চাকরিকে সফল ক্যারিয়ারের চাবিকাঠি মনে করেন।
বাংলাদেশে জনপ্রিয় কিছু ক্যারিয়ার ক্ষেত্র
১. সরকারি চাকরি (BCS, ব্যাংক ইত্যাদি)
সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ও মর্যাদাপূর্ণ চাকরিগুলোর একটি।
বিসিএস ক্যাডার হওয়া অনেক তরুণ-তরুণীর স্বপ্ন।
চাকরির নিরাপত্তা, সামাজিক সম্মান এবং স্থায়ীত্ব – ক্যারিয়ার হিসেবে এগুলো মূল আকর্ষণ।
২. ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ারিং
মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং এখনো দেশের সেরা পেশাগুলোর মধ্যে ধরা হয়।
BUET, মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হতে পারা মানে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
৩. আইটি ও ফ্রিল্যান্সিং
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অন্যতম শীর্ষ ফ্রিল্যান্সিং দেশ।
অনেক তরুণ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন শেখে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চায়।
৪. ব্যবসা ও উদ্যোক্তা হওয়া
তরুণ সমাজ এখন নিজে কিছু শুরু করতে চায় – স্টার্টআপ, ই-কমার্স, ফুড বিজনেস ইত্যাদি।
NSU, IBA, East West এর মত প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা ব্যাংক, কর্পোরেট বা ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন।
৫. এনজিও ও উন্নয়নমূলক খাত
BRAC, গ্রামীণ ব্যাংক, Save the Children-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করা মানে অর্থপূর্ণ ও মানবিক এক পেশা।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী উন্নয়ন, শিশু অধিকার ইত্যাদি নিয়ে কাজের সুযোগ।
৬. সৃজনশীল পেশা
ইউটিউব, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, গান, ফটোগ্রাফি, সিনেমা বানানো ইত্যাদিতে আগ্রহ বাড়ছে।
যদিও ক্যারিয়ার হিসেবে এগুলোর সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা এখনও সীমিত, কিন্তু পরিবর্তন আসছে।
বাংলাদেশে ক্যারিয়ার গঠনের চ্যালেঞ্জগুলো হলো:
প্রতিযোগিতা বেশি: অল্প চাকরির জন্য হাজার হাজার আবেদন।
দক্ষতার অভাব: ডিগ্রি থাকলেও অনেকের হাতে প্র্যাকটিক্যাল স্কিল নেই।
শহর-কেন্দ্রিক সুযোগ: গ্রামে বা ছোট শহরে ভালো চাকরির সুযোগ কম।
পারিবারিক চাপ: পরিবার চায় ছেলে/মেয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার হোক।
ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার প্রবণতা:
- রিমোট কাজ ও ফ্রিল্যান্সিং-এর চাহিদা বাড়বে;
- তথ্যপ্রযুক্তি ও ফিনটেক (FinTech)-এর বিস্তার;
- পরিবেশবান্ধব বা “Green Jobs”;
- ডেটা সায়েন্স, AI, সাইবার সিকিউরিটির মত নতুন ক্ষেত্র।
সে জন্য সেক্টর ভিত্তিক ক্যারিয়ার প্ল্যানিং করতে হবে।